সৌজন্য সংখ্যা ও আলোচনা
(পাঠ্যসূচি বহির্ভূত পাঠ)
এক সাদা ঘোড়া অবসরে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে এলো। অন্য গ্রাম। সরু পথ দিয়ে আস্তে আস্তে হেঁটে পুকুরের পাঁশে বাঁশঝাড়ের পার হলো। সেখানে চারপাশ খোলা এক ছোট্ট ঘর। মিঠেল দুপুর। আচমকা হিমেল বাতাস। সেই ঘরের নিমছায়ায় একটি ঘোড়া কচিঘাস চাবায়। তার গায়ের রং তেল চকচকে খয়েরি-কালো। সাদা ঘোড়া চমকে উঠল। হায় এত সুন্দর একজন রয়েছে, আর সে জানে না! সে পায়ে পায়ে কাছে গিয়ে বলল, –
‘কী করো সুন্দরী?’
‘কেন ঘাস খাই।’
‘তাই তো…তাই তো! তা তুমি আজ আউটিং-এ যাওনি?’
‘মালিকের ভাব এসেছে। কবিতা লিখছে।’
‘তোমার মালিকও কবিতা লেখে?’
‘তিনি এই জেলার বিখ্যাত কবি। তোমার মালিক কী করে?’
‘তিনি গরুর দালাল। তিনি গ্রাম থেকে গরু কেনেন, শহরের বাজারে বেচেন। মাঝে মধ্যে তিনি কবিতা পড়েন এবং লেখেন।’
‘তার কাছে আমার মালিকের কাব্য আছে?’
‘সেইটা আবার কী?’
‘বই গো বই। আইসো তোমারে বই চিনাইয়া দি।’
সাদা ঘোড়া কালো ঘোড়ার কাছে গেল। কালো ঘোড়া একমুঠো ঘাস মুখে নিয়ে জোড়া পায়ে জোর লাথি ছুড়ল। সাদা ঘোড়া ছিটকে পুকুরে পড়ে গেল।
‘বন্ধু ইহাকে সৌজন্য সংখ্যা কহে।’
‘হাঁ হাঁ বুঝেছি। নিশ্চয়ই আলোচনা লিখিব আমি।’
অতপর সাদা ঘোড়া পুকুর হতে উঠে গা-ঝাড়া দিয়ে হাঁটতে শুরু করল।
(গুলতাপ্পি)
loading...
loading...
হাহাহা মাহবুব ভাই। দারুণ আর শিক্ষণীয় একটি কাহিনী বটে।
loading...
নেই কাজ তো খই ভাজ। এটা কোনো লেখাই নয়।
loading...
তারপরও তো মন্দ লাগেনি মাহবুব ভাই। হরেক লিখায় সাজুক শব্দনীড়।
loading...
তবু থাক এইসব সেইসব দিনলিপি স্মৃতি হয়ে।
loading...
হাসি বেঁধে রাখতে পারলাম না গল্প দা।
loading...
তাই। হাসির বিষয় বটে!
loading...
এমন বিস্তর অভিজ্ঞতা আমাদের আশেপাশে প্রচুর।
loading...
দু-একটি শেয়ার করুন প্রিয় কবি। শুভেচ্ছা।
loading...